আজ ৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসনে বিএনপির ৬ দাবি

Spread the love

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, কৃষক ও খামারীদের তালিকা তৈরি করে দ্রুত পুনর্বাসনসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে বিএনপি। রবিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

দেশব্যাপী বন্যার পানিতে যাদের জমির ফসল বিনষ্ট হয়ে গেছে তাদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে আগামী ফসল না ওঠা পর্যন্ত তাদের সর্বাত্মক ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার দাবি জানিয়ে রিজভী বলেন, আগামী ফসলের জন্য সুদমুক্ত কৃষিঋণ প্রদান ও বিনামূল্যে সার, বীজ, কীটনাশক ও সেচের তেলের ব্যবস্থা করা হোক।

রবিবার নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এই দাবি তুলে ধরা হয়। বন্যার পানিতে যেসব মৎস্য, হাঁস-মুরগি, গবাদি পশুর খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সঠিক তালিকা ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে পুনরায় খামার প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের সুদমুক্ত ঋণসহ অন্যান্য সহায়তা প্রদান করার দাবি জানান রিজভী।

বিএনপির পক্ষে থেকে বলা হয়, বন্যার পানিতে যাদের বাড়ি-ঘর আংশিক ও পূর্ণাঙ্গ ধ্বংস হয়ে গেছে, তাদের তালিকা তৈরি করে ঘর-বাড়ি পুনঃনির্মাণে সহায়তা প্রদান করতে হবে। নদীর বাঁধ ভেঙে যেসব গ্রাম-মহল্লা বিলীন হয়ে গেছে, সেসব স্থানে বসবাসকারীরা বর্তমানে উদ্বাস্তু হয়ে গেছে, তাদেরকে সরকারি খাস জমিতে কিংবা আশ্রয়ণ প্রকল্পে স্থানান্তরিত করা জরুরি।

বিএনপির ৬ দাবি হল
বন্যার পানিতে যাদের জমির ফসল বিনষ্ট হয়ে গেছে তাদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে আগামী ফসল না উঠা পর্যন্ত তাদেরকে সর্বাত্মক ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা এবং আগামী ফসলের জন্য সুদমুক্ত কৃষি ঋণ প্রদান এবং বিনামূল্যে সার, রবি শষ্যের বীজ, কীটনাশক, সেচের তেলের ব্যবস্থা করা। বন্যার পানিতে যেসব মৎস্য ঘের, হাঁস-মুরগী, গবাদী পশুর খামার বিনষ্ট বা ধ্বংস হয়ে গেছে তাদের সঠিক তালিকা ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করে পুনরায় খামার প্রতিষ্ঠার জন্য সুদমুক্ত ঋণসহ অন্যান্য সহায়তা প্রদান করা। বন্যার পানিতে যাদের বাড়ি-ঘর আংশিক ও পূর্ণাঙ্গ ধ্বংস হয়ে গেছে তাদের তালিকা তৈরি করে ঘর-বাড়ি পুনঃনির্মাণে সহায়তা প্রদান এবং গ্রাম/পাড়া/মহল্লা যারা বন্যায় বর্তমানে উদ্বাস্তু হয়ে গেছে তাদেরকে সরকারি খাস জমিতে বা আশ্রয়ন প্রকল্পে স্থানান্তরিত করতে হবে। যে সকল বাঁধ, রাস্তা, মসজিদ, মাদ্রাসা ও মন্দিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আংশিক ও পূর্ণাঙ্গ ধ্বংস হয়ে গেছে সেগুলো সংস্কার ও পুনঃনির্মাণ করতে হবে। বন্যার পানিতে যে সব ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা সামগ্রী নষ্ট হয়ে গেছে তাদেরকে সরকারি উদ্যোগে শিক্ষা সামগ্রী ও সহায়তা প্রদান করতে হবে। বন্যার পানি নামার সাথে সাথে রোগ-বালাইগ্রস্ত মানুষের জন্য সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং প্রয়োজনে এলাকাভিত্তিক মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করে চিকিৎসা দিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর